
প্রকাশিত: Sat, Aug 3, 2024 12:18 AM আপডেট: Tue, Apr 29, 2025 11:16 PM
[১]এটা মানুষের অনেক দিনের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ: মামুনুর রশীদ
শিমুল চৌধুরী ধ্রুব: [২] ছাত্র আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদ ও নির্বিচারে শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে ধানমন্ডির আবাহনী মাঠের সামনে হয়ে গেল বিভিন্ন মহলের শিল্পীদের শান্তি সমাবেশ। ‘গণহত্যা ও নিপীড়নবিরোধী শিল্পী সমাজ’-এর ব্যানারে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
[৩] সমাবেশে লিখিত বক্তব্যে শিল্পী সমাজের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয় অবিচার, অনাচার ও জুলুমের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো কর্তব্য বলে উল্লেখ করা হয়। ‘দৃশ্যমাধ্যম শিল্পী সমাজ’র মতো শিল্পীদের এই সমাবেশেও ছিলেন নাট্যজন মামুনুর রশীদ।
[৪] শিল্পীদের শান্তি সমাবেশ শেষে মামুনুর রশীদ সাম্প্রতিক বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেন। প্রবীণ এই নাট্য নির্দেশক, অভিনেতা বলেন, ‘শিল্পীদের সামনে, আমার সামনে যে অনিশ্চয়তা, এতোগুলো প্রাণ ঝরে গেল। বিশেষ করে শিশু দুটির জন্য আমি রীতিমতো রাতে ঘুমাতে পারি না। এটা আমার বাস্তব ব্যক্তিগত অবস্থান। কিন্তু এর বাইরেও যেটা ঘটছে, এটাকে একটা কোটা সংস্কার আন্দোলন বলা যাবে না। এটা মূলত মানুষের অনেক দিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।’
[৫] তিনি বলেন, ‘মানুষের বঞ্চনা হচ্ছে, নানান ধরনের দুর্নীতি হচ্ছে- এর বিরুদ্ধেই আসলে এই প্রতিবাদ। এই প্রতিবাদে যে এত প্রাণ ঝরবে, এটা আমরা কল্পনাও করতে পারিনি।’
[৬] এই নাট্য ব্যক্তিত্ব আরো বলেন, ‘এখনো ধরপাকড়, নানান ধরনের হয়রানি করা হচ্ছে; আমি মনে করি এসব অবিলম্বে বন্ধ হওয়া দরকার। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এটা রাজনৈতিকভাবে সমাধান হওয়া উচিত।’
[৭] তরুণদের কথা শোনা ছাড়া এই মুহূর্তে কোনো সমাধান নেই বলেও জানান তিনি। এ বিষয়ে মামুনুর রশীদ বলেন, ‘পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি দিয়ে এই সমস্যার সমাধান হবে না। এই ক্ষোভ নিরসন হবে না। মানুষের কথা শুনতে হবে। সংলাপ তৈরি করতে হবে। তরুণরা কী বলতে চাইছে সেটা শুনতে হবে। ব্যাখ্যা করতে হবে এবং তার মধ্য দিয়েই আমি মনে করি এই সমস্যার সমাধান সম্ভব।’
[৮] সমস্যা সমাধানের পথ তৈরির আহ্বান জানিয়ে মামুনুর রশীদ বলেন, ‘যারা আন্দোলনে আছে তারা কেউ রাজনৈতিক পরিচয়ে নামেনি। আমি ফার্মগেটে দৃশ্যমাধ্যম শিল্পীদের সঙ্গেও গিয়েছি, আমি তো দেখেছি এখানে কেউ পলিটিক্যাল নয়। রাজনৈতিক পরিচয় কারোরই নাই। তাহলে রাজনৈতিক এমন ট্যাগ দেওয়ার বিষয়গুলো কেন আসছে? আমার মনে হয়, কারো রাজনৈতিক পরিচয় এই মুহূর্তে খোঁজে বের করার দরকার নাই। সমস্যার সমাধান করার জন্য সবারই চেষ্টা করা উচিত।’ সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
[১]আগস্ট জুড়ে থাকবে গ্যাস সংকট
উৎপাদন নিয়ে উদ্বিগ্ন শিল্প মালিকেরা
সালেহ ইমরান : [২.১] শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলনকে ঘিরে সহিংস পরিস্থিতি এবং তার জেরে কারফিউয়ের কারণে এক সপ্তাহ বন্ধ ছিলো দেশের অর্থনীতির চাকা। পুরো তিনদিন বন্ধ ছিলো কলকারখানা। তবে অর্থনীতি সচল রাখতে গত সপ্তাহের বুধবার থেকে চালু করা হয় সব কারখানা।
[২.২] কিন্তু গ্যাস সংকটে ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন। বিশেষ করে পোশাকশিল্পগুলো গ্যাস সংকটে ভয়াবহ সমস্যায় পড়েছে। বেশিরভাগ কারখানায় চাহিদা অনুযায়ী গ্যাসের চাপ ১৫ পিএসআই (প্রতি ঘন ইঞ্চি) থাকার কথা থাকলেও পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৪ পিএসআই। জনকণ্ঠ
[৩] বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ক্রেতাদের চাহিদা পূরণে বাধ্য হয়ে কিছু পোশাক কারখানা ডিজেল বা অন্য কোনো বিকল্প উপায়ে উৎপাদন চালু রাখলেও অনেক কারখানায় ঘুরছে না চাকা।
[৪] সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড় রোমেলের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় প্রায় দুই মাস ধরে বন্ধ রয়েছে আমদানিকরা তরলীকৃত গ্যাসের একটি টার্মিনাল। সিঙ্গাপুরে মেরামতে শেষে ১৪ জুলাই দেশে এলেও প্রতিস্থাপনের সময় এর যন্ত্রাংশে পাওয়া যায় ত্রুটি। এই যন্ত্রাংশটি এসে পৌঁছালেও সাগর উত্তাল থাকায় প্রতিস্থাপন করা যায়নি। সাগর শান্ত না হওয়া পর্যন্ত সেটি প্রতিস্থাপন সম্ভব নয় বলে জানা গেছে। ফলে কবে নাগাদ গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হবে সে ব্যাপারে কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারেননি কেউ। বিডিনিউজ
[৫] গত ২৭ মে সাগরে ভাসতে থাকা একটি পল্টুনের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সামিটের ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের ব্যালাস্ট ট্যাংক। এই টার্মিনাল বন্ধ থাকায় প্রতিদিন কমপক্ষে ৫০০ এমসিএফপিডি (মিলিয়ন কিউবিক ফিট পার ডে) গ্যাস চাহিদা পূরণ করতে পারছে না টার্মিনালটি।
[৬] ভাসমান টার্মিনালটি বন্ধ থাকায় রাজধানী ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় গ্রাস সংকট আবার বেড়ে গেছে। যেখানে ১৫ পিএসআই চাপের বিপরীতে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র আড়াই থেকে ৪ পিএসআই। অথচ কারখানা চালাতে গেলে কমপক্ষে ৬ পিএসআই চাপ লাগে। সেই চাপ না থাকায় ঘুরছে না কারখানার চাকা। সময় টিভি
[৭] বাংলাদেশ নিচওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সহসভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, তিনিদিন কারখানা বন্ধ থাকার পর যখন কারখানা আবার চালু করা হলো তখন থেকে আমরা মারাত্মক সমস্যা মোকাবিলা করছি। আমাদের কিছু যন্ত্রপাতি পুরনো থাকায় ডিজেল দিয়েও চালানো যায়, কিন্তু যাদের সেই সুবিধা নেই তারা কী করবেন? এমনিতেই সহিংস আন্দোলনের কারণে আমাদের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেছে। বিকেএমইএ
[৮] আমদানিকরা তরল প্রাকৃতিক গ্যাসের জন্য দেশে দুটি টার্মিনাল রয়েছে। এর একটি পরিচালনার দায়িত্বে আছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানি সামিট গ্রুপ। অন্যটি মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জির। জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী টার্মিনাল দু’টির প্রতিটির ধারণ ক্ষমতা এক লাখ ৩৮ হাজার ঘনমিটার। আর দুটি এলএনজি রিগ্যাসিফিকেশন (তরল গ্যাস থেকে বায়ু গ্যাসে রূপান্তর) টার্মিনালের ক্ষমতা এক হাজার ১০০ ঘনফুট। জাস্টনিউজ
[৯ ] পেট্রোবাংলা বলছে, সামিটের টার্মিনালটি বন্ধ থাকায় এখন শুধু এক্সিলারেটের টার্মিনাল দিয়ে প্রতিদিন সরবরাহ হচ্ছে মাত্র ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। অভ্যন্তরীণ কূপগুলো থেকে পাওয়া যাচ্ছে আরো ২ হাজার ঘনফুট গ্যাস। এর বিপরীতে চাহিদা রয়েছে ৩ হাজার ১০০ ঘনফুট গ্যাসের। ফলে প্রতিদিন ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের ঘাটতি থাকছে। বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড
[৯] পেট্রোবাংলার পরিচালক (অপারেশন এ্যাান্ড মাইনস) কামরুজ্জামান খান বলেন, সামিটের টার্মিনালটির কারণে গ্যাসের সংকট তো রয়েছেই। তবে আশা করা হচ্ছে মাসখানেকের মধ্যে সাগর শান্ত হয়ে এলে টার্মিনালটি প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হবে। তখন সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে আসবে। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
আরও সংবাদ
[১]সরকার ধৈর্য্য ধরলেও সন্ত্রাসীরা দেশের অনেক জায়গায় তাণ্ডব চালিয়েছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
[১]রাজধানীর মোড়ে মোড়ে আওয়ামী লীগের জমায়েত
[১]আন্দোলনকারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে এনায়েতপুর থানায় হামলা চালায় [২]সারাদেশে পুলিশের অনেক স্থাপনা আক্রান্ত
[১]সুশাসন নিশ্চিতে রাষ্ট্রকাঠামো ঢেলে সাজানোসহ ১১ দফা দাবি টিআইবি’র
[১]ড. ইউনূসকে ৬৬৬ কোটি টাকা কর পরিশোধ করতে হবে: হাইকোর্ট
[১]রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসসহ নৈরাজ্যকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান: ইকবাল সোবহান চৌধুরী

[১]সরকার ধৈর্য্য ধরলেও সন্ত্রাসীরা দেশের অনেক জায়গায় তাণ্ডব চালিয়েছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

[১]রাজধানীর মোড়ে মোড়ে আওয়ামী লীগের জমায়েত

[১]আন্দোলনকারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে এনায়েতপুর থানায় হামলা চালায় [২]সারাদেশে পুলিশের অনেক স্থাপনা আক্রান্ত

[১]সুশাসন নিশ্চিতে রাষ্ট্রকাঠামো ঢেলে সাজানোসহ ১১ দফা দাবি টিআইবি’র

[১]ড. ইউনূসকে ৬৬৬ কোটি টাকা কর পরিশোধ করতে হবে: হাইকোর্ট
